ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিরোজ মিয়া সময়ের ব্যবধানে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৪-১০-২০২৪ ১১:২৬:১০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৪-১০-২০২৪ ১১:২৬:১০ অপরাহ্ন
ফিরোজ মিয়া সময়ের ব্যবধানে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক ফিরোজ মিয়া পিতা মোস্তফা মিয়া গ্রাম কান্দু বস্তি ইউনিয়ন ৩ নং পূর্ব জাফলং থানা গোয়াইনঘাট জেলা সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন (ইসিও) এলাকা থেকে দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার বালু-পাথর লুট-পাটকারী সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঘনিষ্ট্যজন হিসাবে পরিচিত ছিলেন বিশ্বনাথী ফয়জুল,? সরকার বদলের সাথে-সাথে তারা গা ডাকা দিয়ে আত্মগোপনে গেলেও জাফলংয়ে চলছে এখনোও তাদের রাম-রাজত্ব। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরাই সমগ্র জাফলং এলাকায় নিজেরাই আইন
ফিরোজ মিয়া পিতা মোস্তফা মিয়া গ্রাম কান্দু বস্তি ইউনিয়ন ৩ নং পূর্ব জাফলং থানা গোয়াইনঘাট জেলা সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং পর্যটন (ইসিও) এলাকা থেকে দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে প্রতিদিন প্রায় অর্ধকোটি টাকার বালু-পাথর লুট-পাটকারী সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের ঘনিষ্ট্যজন হিসাবে পরিচিত ছিলেন বিশ্বনাথী ফয়জুল,? সরকার বদলের সাথে-সাথে তারা গা ডাকা দিয়ে আত্মগোপনে গেলেও জাফলংয়ে চলছে এখনোও তাদের রাম-রাজত্ব। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরাই সমগ্র জাফলং এলাকায় নিজেরাই আইন তৈরী করে নিজেদের মতো চালিয়েছে লুটপাট। এই চক্রের বাহিওে গিয়ে কথা বলার সাহস ছিলোনা। কারণ মন্ত্রী ইমরান নিজেই থানার ওসি-ইউএনও’র সাথে তার চক্রের সদস্যদের মিটমাট করিয়ে দিতেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। এক সময় এই জাফলং এলাকার ত্রাস হিসাবে পরিচিত জৈন্তাপুর কিন্তু হঠাৎ করে মন্ত্রী ইমরানের কাছে লোক হয়ে উঠে জাফলং এলাকার লেবু চেয়ারম্যানের পরিবাওে সদস্যরা। ফলে লিয়াকত যুগের অবসান হলে ক্ষমতার চাবি চলে যায় লেবু চেয়ারমানের ভাই কলেজ শিক্ষক ফয়জুল ইসলামের হাতে। তিনি হয়ে উঠেন মন্ত্রী ইমরানের প্রতিনিধি এখন বল পাল্টেছেন  । ফলে সরকার দলীয় সকল ক্ষমতা চলে যায়, ফয়জুলের হাতে। তারা গড়ে তুলে মন্ত্রী ইমরানের নামে একটি নিজস্ব সিন্ডিকেট। 
যদিও জেলা প্রশাসক থেকে শুরু করে এডিসি রেভিনিউ, স্থানীয় এসিল্যান্ড সকলেই গণমাধ্যমে বলেতেন জাফলং (ইসিও) এলাকায় কোন বালু মহাল-ই নেই। কোনদিনই ডিসি অফিস থেকে কোন প্রকার ইজারা দেওয়া হয়নি। কিন্তু সেখানে সাবেক মন্ত্রীর লোক পরিচয়ে ট্রাক শ্রমিকনেতা চক্রটি দীর্ঘ একযুগ খাবলে খেয়েছেন পুরো জাফলংকে। ধ্বংশ করে দিয়েছে পুরো পর্যটন এলাকা।
সিলেট ৪-আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও পলাতক সরকারের সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদের লোক পরিচয়ে জাফলংয়ে অবৈধ বালুখেঁেকা সিন্ডিকেটের গডফাদার ছিলো জাফলং নয়াবস্তির বর্তমান বাসিন্ধা একই চালিয়ে গেছে জাফলং ধ্বংসের তান্ডবলিলা। তার সহযোগী হিসাবে ছিলো বিশ্বনাথের ফয়জুল ইসলাম উরফে বিশ্বনাথী ফয়জুল। ট্রাক শ্রমিক নেতা। সরকারি কোন রকম অনুমোদন বা ইজারা ছাড়াই প্রকাশ্য অবৈধ বালু-পাথর হাজার কোটি টাকার বালু-পাথর লুটপাট কওে নিয়েছে। যা গত কয়েকদিন আগেও অব্যাহত ছিলো। 
স্থানীয়রা জানান, জাফলং নদীতে গেলেই চোখে পড়তো বালুবাহী হাজার হাজার কার্গো নৌকার সারি। জাফলং থেকে বালু নিয়ে ভাটিতে হাজার হাজার নৌকা গোয়াইনঘাট হয়ে চলে যেতো দেশের বিভিন্ন প্রন্তরে। জাফলং ব্রিজসহ গোটা এলাকাকে পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিও) হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সরকারি ভাবে। কিন্তু সরকারি সকল আদেশই তাদের কাছে ছিলো তুচ্ছ। সাবেক মন্ত্রী ইমরানের নামে গোয়াইনঘাট কলেজের শিক্ষক ফয়জুল, তার ভাই সামছু, লেবু চেয়ারম্যানসহ চক্রটি ভাগবাটোয়ারা করে লুটপাট করে খেয়েছে জাফলংকে। নিজস্ব স্বশস্ত্র ক্যাডারদের পাহারা বসিয়ে জাফলংয়ে নেতৃত্বে রাতে-দিনের আলোতে চালানো হয় পরিবেশ বিনষ্টকারী ড্রেজার মেশিন। ফিরোজ মিয়া, শ্রমিক নেতা  ফয়জুল মিয়া, সেই বাহিনীর সদস্য। অবৈধ বালু-পাথর লুটকারীরা নিজেদের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের নিজস্ব লোক বলে পরিচয় দিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জিম্মী করে ফেলতো তাদের রাজত্ব এখনো বহাল 

প্রতিবাদ করলেই চলে  মামলা হামলা, নির্যাতন নিপিড়ন। এনিয়ে স্থানীয় লোকজন সরাসরি প্রতিবাদসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে দীর্ঘদিন অভিযোগ, সাংবাদিক সম্মেলন করেও কোন সুফল পায়নি। স্থানীয়দের আরো অভিযোগ করেন, প্রশাসনকেই ম্যানেজ করেই জাফলং চা বাগান ও কান্দুবস্তি এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এখনও। তাদের নির্বিচারে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাফলংয়ে একমাত্র ব্রিজ। এ ছাড়া নয়াবস্তি ও কান্দুবস্তি নামের দুটি গ্রাম ও জাফলং চা বাগান প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রতিদিনের চিত্র দেখলে মনে হতো জাফলংয়ের বালু ও পাথর সিন্ডিকেটের সদস্যরা এবার ঐক্যবদ্ধ হয়েই বালু লুটপাটে নেমেছে। 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফয়জুল এখন সময়ের ব্যবধানে কয়েক শত কোটি টাকার মালিক। । এক সময়  দুটি গ্রুপে নেতৃত্ব দিতেন, ছিলো প্রকাশ্য ছিলো দ্বন্ধ চলতো অস্ত্রের মহড়া। এ নিয়ে প্রায়ই গণমাধ্যমে খবর প্রচার হতো।  স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে প্রতিদিন ১৫-২০ লাখ টাকা করে গত ৩ মাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বালু লুটপাট করেছে চক্রটি। তাছাড়া প্রতিদিন হাজার হাজার বালুবাহী কার্গো নৌকা চলাচলের কারণে জাফলং ব্রিজ, গোয়াইনঘাট ব্রিজ, সালুটিকর ব্রিজসহ শত শত কোটি টাকায় নির্মিত সেতু এখন হুমকির মুখে পড়েছে।  সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ফয়জুল হচ্ছে সিন্ডিকেটের মেইন গডফাদার। স্থানীয় সাংবাদিক ম্যানেজ, প্রশাসন ম্যানেজ, নেতা ম্যানেজ সবই করেন এই ফয়জুল । 

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ